আইজিপি বাহারুল আলমের অপসারণ চেয়ে রিট খারিজ
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে দায়ীদের তালিকায় নাম আসায় বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের অপসারণ চেয়ে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ ও ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
রিটকারী আইনজীবী আদালতে উপস্থিত না থাকায় রিট আবেদনটি খারিজ করা হয়েছে।
এর আগে, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে দায়ীদের তালিকায় নাম আসায় আইজিপি বাহারুল আলমের অপসারণ চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। ন্যাশনাল ল-ইয়ার্স কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এম জুলফিকার আলী জুনু এই রিট দায়ের করেন।
গত ৬ ডিসেম্বর বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে দায়ীদের তালিকায় নাম আসায় বাহারুল আলমকে বরখাস্ত করতে প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি দেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। ন্যাশনাল ল-ইয়ার্স কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এম জুলফিকার আলী জুনু রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ চিঠি পাঠিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহী জওয়ানদের হামলায় নিহত হন ৫৭ সেনা কর্মকর্তা। ঘটনাটি নিয়ে ওই সময়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু রিপোটর্টি আলোর মুখ দেখেনি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা, মইন ইউ আহমেদসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের স্বজনরা। এরপর ২৩ ডিসেম্বর তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটিকে সুনির্দিষ্ট কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছে-অপরাধ সংঘটনকারী, সহায়তাকারী, ষড়যন্ত্রকারী, ঘটনার আলামত ধ্বংসকারী ও ইন্ধনদাতাকে চিহ্নিত করা। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে দেশি-বিদেশি সংশ্লিষ্ট অপরাধী ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, বিভাগ ও সংগঠন চিহ্নিত করা অন্যতম।

